binodonerpadmaful
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

পরিবেশ রক্ষা সময়ের দাবি


বিনোদনের পদ্মফুল | শাহিন নুরী নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম পরিবেশ রক্ষা সময়ের দাবি

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সৌন্দর্যের সর্বোচ্চ মাধুর্য দিয়ে দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবী নামক গ্রহে মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে। সৃষ্টিকর্তা মানুষের কাছে চান তার দাসত্ব ও আনুগত্য। আল্লাহ আরও চান তাঁর সৃষ্টি শৃঙ্খলাবদ্ধ এই পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে মানুষ সে দায়িত্ব পালন করুক। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এই চাওয়া মানুষের কল্যাণেরই জন্য। মহাপবিত্র আল কোরআন এ মানুষের  কল্যাণেরই ঘোষণা দিয়েছেন।  
পবিত্র আল কোরআনে  সৃষ্টিকর্তা নিজে শুধু মানুষকে নিয়ে কয়েকটি আয়াতে কসম  করে বলেছেন  নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দর অবয়বে এবং সৃষ্টির সেরা মাখলুকাত হিসেবে। সূরা বাকারার ২৯ নং  আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ  (সূরা লুকমান : ২০)বলছেন, “নিশ্চয় আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে তা শুধু আল্লাহ তায়ালা তোমাদের কল্যাণের জন্য নিয়োজিত রেখেছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য নিয়ামতসমূহ পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন।”  
আল্লাহর সৃষ্টি এ সুন্দর পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে, পৃথিবীর পরিবেশকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে মানুষের রয়েছে অনেক বড় দায়িত্ব। মানুষের অসচেতনতা ও অনিয়ন্ত্রিত আচরণের কারণেই পৃথিবী তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। পৃথিবীর পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। পৃথিবীকে সুন্দর করার দায়িত্ব মানুষেরই; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষই যেন আজ পৃথিবীকে দূষণের দায়িত্ব নিয়েছে! মানবসৃষ্ট নানা কারণে সুন্দর এ পৃথিবীর পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গ্রিন হাউজ গ্যাস, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, আর্সেনিকযুক্ত বর্জ্য, শিল্প কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, বালাইনাশক, আগাছানাশক, ধোয়া, ধূলিকণা, ময়লা-আবর্জনা,পলিথিন ইত্যাদি যা পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
পরিবেশ দূষণের প্রভাবে নানাভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবী। এক গবেষণায় দেখা যায় পরিবেশ দূষণজনিত অসুখ বিসুখের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৮ শতাংশ  মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। যেখানে বিশ্বে এ ধরনের মৃত্যুর গড় মাত্র ১৬ শতাংশ। ক্যান্সার, হৃদরোগ, এজমা, ক্লোন রেক্টাল, স্নায়ু বৈকল্য, শিশুর মানসিক সমস্যা, হাইপারটেনশন, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, কিডনিজনিত সমস্যাসহ অনেক রোগ প্রত্যেক দিন বেড়ে যাচ্ছে পরিবেশ দূষণের কারণে।
নানাবিধ পরিবেশ দূষণের মধ্যে বায়ুদূষণের ক্ষতির মাত্রা অধিক। বায়ুদূষণে বাংলাদেশ  ধারাবাহিকভাবে এ শীর্ষে। রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ু দূষণ এর শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। অধিক মাত্রার বায়ুদূষণের ভয়ানক ক্ষতিকর প্রভাবও আতঙ্কিত হওয়ার মতো।
গবেষণায় দেখা গেছে বায়ুদূষণজনিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। আর পৃথিবীজুড়ে প্র্রতি বছর ৭ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় বায়ুদূষণের কারণে। পৃথিবীতে প্রতি  ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মানুষ মারা যায় যারা বায়ু দূষণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে। জরিপে আমরা যে সংখ্যা দেখছি তার থেকে অনেক বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে; রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই পরিবেশ দূষণের কারণে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর হলেও রোগে আক্রান্ত হয়েই কেটে যাচ্ছে জীবনের বড় একটা অংশ, নষ্ট হচ্ছে শতশত কর্মঘণ্টা। ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক পরিচালিত একটি জরিপ বলছে দূষণের কারণে ঢাকার বাসিন্দাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার বছরের সমপরিমাণ সময়। দূষণের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের কাজ করতে হবে।
পরিবেশ রক্ষায় আমাদের করণীয়:
পরিবেশ দূষণ রোধে সকল পেশাজীবী মানুষকে যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।  সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী গড়তে জনসচেতনতা সবার আগে। বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষায় আইনের কোন অভাব আছে বলে মনে হয় না। প্রয়োজন জনসচেতনতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে পরিবেশবান্ধব। পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তি, সামাজিক পর্যায়ে আমরা নিম্নোক্ত প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি-
 বৃক্ষরোপণের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ
বসতবাড়ির আশপাশে ফাঁকা জায়গা, রাস্তার দুইধার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, খাল-বিলের পাড়, বাঁধ-বেড়িবাঁধ, মসজিদ চত্বরসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় পর্যাপ্ত ফলদ, বনজ ও ভেষজ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করা। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা পালন করা। কাঠের বিকল্প ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করা। রান্নার জ্বালানি হিসেবে খড়ির ব্যবহার কমানো। বিকল্প হিসেবে চারকল, গ্যাস, কয়লা ও ঘুটের ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে। উন্নত চুলার ব্যবহার সম্প্র্রসারণ করা প্রয়োজন, যেখানে কম খড়ি প্রয়োজন হয় এবং কম ধোঁয়া নির্গমন হয়। পলিথিন একেবারেই বর্জন করতে হবে। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসাবে পাটজাত ও অন্যান্য পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আগাছানাশক ও বালাইনাশকের ব্যবহার যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করা। পাশাপাশি জৈব কৃষির ওপর অধিক জোর দেয়া। নির্বিচারে বন্য ও জলজ প্রাণী শিকার বন্ধ রাখা। বন-জঙ্গল, জলাশয়, নদী, সাগর দূষণমুক্ত রাখা। জলাশয় ভরাট বন্ধ করা।
পরিবেশ রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব অনেক বেশি। ব্যক্তি ও সামাজিক উদ্যোগ ফলপ্রসূ করতেও রাষ্ট্রের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রকেই জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও যথোপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সুন্দর পৃথিবী তৈরির সামগ্রিক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সমন্বয় উদ্যোগ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
আল্লাহর অন্যতম সুন্দর সৃষ্টি বৃক্ষ তথা গাছ। সুন্দর পৃথিবীর শোভাবর্ধনে আল্লাহর এই অপরূপ সৃষ্টির ভূমিকা ও অপরিসীম। গাছ মানুষের পরম বন্ধু। এর নির্মল বাতাস আমাদের দেহ ও মনকে রাখে সুস্থ ও সতেজ। গাছ ও মানুষ একে অপরের সাথে যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গাছপালা খাদ্য তৈরির সময় পরিবেশ হতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে আর সমগ্র মানবকুল বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। একটি বয়স্ক গাছ ১০ জন মানুষের বার্ষিক অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করে। বাতাস থেকে ৬০ পাউন্ডের অধিক বিষাক্ত গ্যাস শোষণ ও ১০টি এসির সমপরিমাণ তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। শত শত টন কার্বন শোষণের মাধ্যমে বায়ুর দূষণ রোধ করে। বৃক্ষরাজি শব্দ দূষণও রোধ করে। এক হেক্টর পরিমাণ মাঝারি বন ১০ ডেসিবল শব্দ হ্রাস করতে পারে। বৃক্ষ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণে ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছে। রাসূল (সা.) তাঁর উম্মতকে বৃক্ষরোপণ বারবার তাগিদ দিয়েছেন। রাসূল (সা.) বলেন যদি কোন মুসলিম বৃক্ষ রোপণ করে অথবা ক্ষেতে ফসল বোনে, মানুষ কিংবা পশু সেই ফসল খায় তা তার জন্য সাদকা হিসেবে গণ্য হয়।  বৃক্ষ রোপণের সাথে পরিচর্যাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবীজি (সা.) বৃক্ষের পরিচর্যার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। রাসূল (সা.) বলেন, ‘ যদি কোনো ব্যক্তি বৃক্ষরোপণ করে তা ফলদার হওয়া পর্যন্ত তার পরিচর্যা ও সংরক্ষণে ধৈর্য ধারণ করে, তার প্রতিটি ফল যা নষ্ট হয়, তার বিনিময়ে আল্লাহপাক তাকে সদকার নেকি দেবেন।’  আসুন, রাসূল (সা.)-এর তাগিদ উপলব্ধিতে এনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পৃথিবীকে সুন্দর করতে অধিক বৃক্ষ তথা বেশি বেশি গাছ রোপণ ও পরিচর্যা করি।
ছাত্র, তরুন তরুণী, যুবক যুবতীদের বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার সাথে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। পৃথিবী গ্রহের, পরিবেশ, জলবায়ু বাঁচলেই  সৃষ্টিকর্তার কর্তার শ্রেষ্ঠ  মানুষ আমরা বাঁচতে পারব। ফলে হাতে হাত ধরে বাংলাদেশের পরিবেশকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিতে হবে ছাত্র-ছাত্রী, তরুণ তরুণী, যুবক যুবতী, সহ সকল শ্রেণীর পেশার মানুষকে।
বাংলাদেশ  বিনির্মাণে তরুণ সমাজের রয়েছে অনস্বীকার্য অবদান। যুগে যুগে তরুণ-যুবকরা বাধা উপেক্ষা করে রক্ত আর ঘামের বিনিময়ে বারবার ছিনিয়ে এনেছে মানবতার বিজয়। ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা রয়েছে তরুণদের বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগের কথা। দেশের ঐতিহাসিক সব অর্জনে তরুণ-যুবসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। এখনই সময় তরুণদের, বাংলাদেশকে নির্মল সবুজের অরণ্য গড়ে প্রত্যেকটি মানুষকে বাঁচাতে নির্মল পরিবেশ এর  মধ্য দিয়ে বাঁচতে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশে বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি ও সংরক্ষণে তরুণ প্রজন্মকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।  তরুণ সমাজ এক হয়ে কাজ করতে পারলে রুখে দেয়া সম্ভব পরিবেশ দূষণকারী দুষ্টচক্রকে, গড়ে তোলা সম্ভব দূষণমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তরুণরাই পারে সমাজের অসচেতন শ্রেণী পেশার মানুষকে সচেতন করতে।
পরিবেশ রক্ষার চেতনাদীপ্ত তরুণদের আজ জেগে উঠতে হবে চড়াই উতরাই পাড়ি দিয়ে। ছিনিয়ে  আনতে হবে বাংলাদেশের পরিবেশে চূড়ান্ত  বিজয়। তাহলে হবে পরিবেশ রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ রোধের বিজয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় সরকারের সিভিল প্রশাসন আছে। প্রশাসন ক্যাডারের একটি জেলায় সর্বোচ্চ প্রশাসনিক নজরদারি সহ সব সেক্টরে জেলা প্রশাসকের মনিটরিং  ক্ষমতা রাখেন।
বাংলাদেশের যে জেলার জেলা প্রশাসক যত বিচক্ষণ হবে সে জেলা তত উন্নত উন্নতি সাধন করবে। এর জন্য দরকার সদ ইচ্ছা মেধা ও দক্ষতা। বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের জেলা গাইবান্ধা। গাইবান্ধা জেলার বর্তমান জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। জেলা প্রশাসক মোয়াজ্জম আহমদ ইতিমধ্যেই গাইবান্ধা জেলাকে একটি সবুজে অরণ্য নগরী তৈরি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। পরিছন্ন নগরী গড়তে শহরের একটি টেকসই প্রাণকেন্দ্র তথা বিনোদন কেন্দ্র করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের মানুষের পরামর্শ নিয়েছেন।পরিতক্ত ঘাঘট লেককে রূপান্তর করেছেন নির্মল পরিবেশ ও মানুষের বিনোদন কেন্দ্রের অংশবিশেষ হিসেবে।
শহরের রাস্তার  ডিভাইডার এরমধ্যে নানান রকমের রকমারি ফুলের চারা পরিবেশবান্ধব বৃক্ষ এবং গাইবান্ধা জেলাকে পরিচ্ছন্ন নগরী করতে সরকারের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। এবং গাইবান্ধা জেলার সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্ন নগরী বাস্তবায়ন করার নিবির প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তরুণ সমাজকে উদ্যোগী করে তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে গাইবান্ধা জেলাকে একটি মডেল জেলা হিসেবে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর ও দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা হোক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী।
বাংলাদেশের পরিবেশ বাঁচলে এই প্রজন্মের মানুষসহ পরবর্তী প্রজন্মের মানুষগুলো নির্বিঘ্নে  স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। শুধু সরকার এবং প্রশাসন করবে এই অপেক্ষায় না থেকে প্রত্যেকটি জেলার প্রত্যেকটি শ্রেণী পেশার মানুষকে উদ্যমই হয়ে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ ও সবুজের অরণ্য একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তাহলে মিলবে বাংলাদেশের পরিবেশের প্রকৃত সফলতা।

Side banner