মৌসুমের পঞ্চম শিরোপা জিতে নিলো কার্লো আনচেলত্তির দল। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। মেক্সিকোর ক্লাব পাচুকা এফসির বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পায় ইউরোপীয় জায়ান্টরা। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, উয়েফা সুপার কাপ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরেছিল কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্স। এই ভেন্যুতেই এবার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে শিরোপা জিতলেন এই ফরাসি তারকা। ম্যাচে একটি গোলও ছিল তার। এছাড়াও গোল করেছেন দুই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো গোয়েস।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইউরোপীয় জায়ান্টদের সামনে পাচুকা বল দখলে পিছিয়ে ছিল। তবে আক্রমণভাগে মেক্সিকোর দলটি লড়াই করেছে সমান তালে। সমান ১২টি করে শট নিয়ে তারা ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে। অন্যদিকে একটি বেশি শট লক্ষ্যে ছিল রিয়ালের।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় পাচুকা। তবে লুইস রদ্রিগেজের নেওয়া শট থিবো কোর্তোয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে জাল খুঁজতে দেননি। উল্টো ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ভিনিসিয়ুসের বাড়িয়ে দেয়া বলকে এমবাপে জালে জড়ান। এক গোলে এগিয়ে বিরতি নেয় দল দুটি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই রিয়ালের লিড দ্বিগুণ করেন রদ্রিগো। ৫৩ মিনিটে এই ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁকানো শটে সফল লক্ষ্যভেদ করেন। অবশ্য ৭১ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ আসে পাচুকার সামনেও। তাদের ফরোয়ার্ডের হেড চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে।
৮৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষ ফুটবলার লুকাস ভাসকেজকে ডি-বক্সে ফাউল করায় রেফারি ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টি দেন। সফল স্পটকিকে গোল করেন ভিনিসিয়ুস। যোগ করা সময়ে দারুণ হেডে পাচুকা গোল করলেও অফসাইডে বাদ হয়। চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ।
ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপের পরিধি ও ফরম্যাট দুটিতেই পরিবর্তন এনেছে। এ কারণেই ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ক্লাব বিশ্বকাপের আদলে প্রথমবার আন্তঃমহাদেশীয় কাপ আয়োজন করে। ছয় কনফেডারেশনের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত এই নকআউট টুর্নামেন্টের ফাইনালে রিয়াল মুখোমুখি হয় কনক্যাকাপ চ্যাম্পিয়ন পাচুকার।
আপনার মতামত লিখুন :