ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুরুতে ব্যাট করে ক্যারিবিয়দের ১৩০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় টাইগাররা। জবাবে স্বগতিকরা ১০২ রানে অলআউট হলে হলে জয় নিশ্চিত হয় সফরকারীদের।
১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ২ ওভারেই ১৯ রান নিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারররা। ব্রেন্ডন কিং ও আন্দ্রে ফ্লেচার তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে একই ওভারে ফেরেন সাজঘরে। এর পর জনসন চার্লসও বিদায় নিলে একেবারে ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। একসময় ৪২ রানে ৬ উইকেটে পতন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
তবে সপ্তম উইকেটে বাধা হয়ে দাঁড়ান রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। একপর্যায়ে দলকে জয়ের স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন দুজনে। তবে রিশাদ পরপর দুই বলে চেজ ও মোতিকেকে সাজঘরে ফিরিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৩৪ বলে ৩২ রান করা চেজই ছিলেন স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ স্কোরার। শেষপর্যন্ত ১০২ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়রা।
বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদি ও রিশাদ। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শেষদিকে শামিম হোসেন পাটোয়ারির ১৭ বলে ৩৫ রানের সুবাদে লড়াইয়ের পুজি পায় বাংলাদেশ।
বোলিং সহায়ক উইকেটে মাত্র ৩.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১১ রানে পরিণত হয় সফরকারীরা। আগের ম্যাচে গোল্ডেন ডাক মারা অধিনায়ক লিটন দাস আজ ওপেনিংয়ে নেমে করেন ১০ বলে ৩ রান। এ ছাড়া তানজিদ তামিম করেছেন ৪ বলে ২ রান। তবে বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সৌম্য ও মিরাজ। দুজনের জুটিতে ২৮ রান আসার পর রান আউটে বিদায় নেন ১৮ বলে ১১ করা সৌম্য। ২৫ বলে ২৬ করে আলজারি জোসেফের বলে ফেরেন মিরাজও। ১১ রান করেন মেহেদি। ২০ বলে ২১ করেন অনিক।
১৬.১ ওভারে ৮৮ রান ৭ উইকেট পতনের পর দলকে টেনে তুলেন শামিম। তানজিম সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন দুই জন। ৩৫ রানে শামিম এবং ৯ রানে সাকিব অপরাজিত থেকে দলকে এন দেন ১২৯ রানের পুঁজি।
আপনার মতামত লিখুন :