বিশ্বের সর্ববৃহৎ হস্তলিখিত আল কুরআন এখন বাংলাদেশে। উদ্যোমী তিনজন উদ্যোক্তা স ম ইফতেখার মাহমুদ, মো. মোতাহার হোসেন ও মো. ইব্রাহীম নোমানের বিশেষ উদ্যোগে হাতে লেখা এ কোরআন শরীফ বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। কুরআন শরীফ লেখার দায়িত্ব পালন করেছেন মাদ্রাসা ছাত্র কাউছার আহমাদ। এক বছরের অধিক সময়ে অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় একক হাতে লেখা সর্ববৃহৎ কোরআন শরীফ তিনি সম্পন্ন করেছেন। উদ্যোক্তাগণ জানান, এ পবিত্র গ্রন্থটি লেখার উদ্দেশ্যই হলো আল্লাহতায়ালাকে রাজি খুশি করা এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে বৃদ্ধি করা।
বিশ্বের অন্যান্য হাতে লেখার কুরআন শরীফ পর্যালোচনা করে সর্ববৃহৎ কোরআন শরীফ হিসেবে এটিকে ধারণা করছেন আয়োজক কমিটি।
১৪ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১২ ফুট প্রস্থ, দুইশত পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করা কোরআন শরীফের ওজন হবে প্রায় ৮শত কেজি অর্থাৎ ২০ মণ। এ গ্রন্থটি লেখার জন্য বাঁশের তৈরি কলম এবং কালি হিসেবে দোয়াত কালি ব্যবহার করা হয়েছে। এ কোরআন শরীফকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কোরআন শরীফ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হস্তলিখিত এই কুরআন শরীফ ডিজাইন এবং সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছেন আরিফ বিল্লাহ খান। সহযোগিতায় ছিলেন মাসুম পারভেজ ও মো. তুহিন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এ কুরআনের লেখা সমাপ্ত উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, বিষয়টি বিশ্বব্যাপী প্রচারে সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
তিনি বলেন, ধমকর্ম মানুষকে পরিশীলিত করে। ধর্ম চর্চায় মানুষ বিশুদ্ধ হয়। এধরণের লেখার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হবে বলে আশা করছি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উসতাযুল হুফফাজ হাফেজ আবদুল হক দা. বা. (হাফি) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বরেণ্য ক্বারী শায়েখ আহমদ বিন ইউসুফ আল আজহারী এবং আরো উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য অনেক আলেমে দ্বীন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন শায়খ আহমদ বিন ইউসুফ আল আজহারী।
সর্ববৃহৎ এ কোরআন শরীফ এর প্রচ্ছদ ও ডিজাইনে স্বর্ণ, রূপা, ব্রোঞ্চ, কাঠ, স্টিল, এসএস, ফোম ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
হাতে লেখা কুরআন শরীফ প্রদর্শন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে কমিটির সভাপতি স ম ইফতেখার মাহমুদ, সহ সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন, সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম নোমান দায়িত্ব পালন করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :