বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এম মাহফুজুল হক পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর মারসেলো রেবেলো দ্য সুজার কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। প্যালাসিও দ্যা বেলেম এ আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করার মাধ্যমে অফিসিয়ালি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেন।
রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে “বাংলাদেশ ভবন” থেকে প্রথমে প্রাসা দো ইম্পেরিও (জেরোনিমোস)-এ প্রথম গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। পরে “প্যালাসিও দ্যা বেলেম” প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।
এসময় বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পর্তুগালের রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র দেওয়ার সময় সিভিল হাউসের প্রধান ফার্নান্দো ফুর্তুয়োসো দে মেলো, রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক উপদেষ্টা মারিয়া আমেলিয়া মাইও দ্যা পাইভা, পররাষ্ট্র সচিব ড. নুনো সাম্পাইও এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো রিবেইরো তেলেস উপস্থিত ছিলেন। পরিচয়পত্র পেশের পর পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে সৌজন্য বৈঠক হয়।
রাষ্ট্রদূত এম মাহফুজুল হক পর্তুগালের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর মারসেলো রেবেলো দ্য সুজা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রপতি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বিশেষ করে বাণিজ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি পর্তুগালের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। পর্তুগালে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি রাষ্ট্রদূতকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। পর্তুগালের রাষ্ট্রপতিও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে পর্তুগাল সফরের জন্যও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :