জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘র’-এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে এই তথ্য সন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না।
তিনি বলেন, প্রথম আলো বারবারই এ দেশের সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন।
গতকাল প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন’ শিরোনামের প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এসব কথা লিখেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, প্রথম আলো আজ শিরোনাম করেছে ‘হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন’। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি, আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কত বিলাসী জীবনযাপন করি। দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন, তাহলে আপনারা এখনো ভুলের জগতে আছেন।
থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম। ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই রুখে দাঁড়াতাম না।
তিনি বলেন, থামার হলে আপনাদের মতোই ভারত বা ‘র’ এদের তাঁবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার হিসাব করতাম। বিলাসিতাই যদি করতে চাইতাম, তাহলে আমার এত যুদ্ধ করার দরকার ছিল না, আপনাদের সঙ্গে মিলেমিশেই বিলাসী জীবন বেছে নিতে পারতাম। আমি সেটা করিনি এবং করবও না। যতই তথ্য সন্ত্রাস করেন, আমি ভারত আর ‘র’-এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাব না, আওয়ামী লীগকে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দেব না। আমি কত বিলাসী জীবনযাপন করি সেটা সবাই জানে। আমার ব্যাংক ব্যালান্স থেকে শুরু করে ট্যাক্স রিটার্ন সব কিছুই একসেস করা যায়। আপনারাও একসেস করতে পারতেন, কিন্তু আপনারা করেননি।
চ্যালেঞ্জ করে বলছি, গতকালের মিটিংয়ে আমার এসব বিষয়ে কোনো কথাই হয়নি, প্রশ্নও হয়নি। অথচ এত বড় মিথ্যা আমার নামে ছাপিয়ে দিলেন। আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি, আমি কারো কাছ থেকে এক টাকাও নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করুক। যেকোনোভাবে; সরকারি-বেসরকারি যেকোনো গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় তদন্ত হোক। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু এসব মিথ্যা নিউজ করে আমাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা যাবে না।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরো লিখেছেন, প্রথম আলো বারবারই এ দেশের সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। ‘র’-এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে এই তথ্য সন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না।
এসব তথ্য সন্ত্রাস দিয়ে থামানো যাবে না উল্লেখ করে হাসনাত লিখেছেন, যত দিন দেহে প্রাণ আছে, আমি এই দেশে দিল্লির সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব। তাতে আমার রাজনীতি যদি না থাকে, আমাকে যদি মাইনাস করা হয়, হোক। আমাদের মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আপনার মতামত লিখুন :