রাজধানীতে সূর্যের দেখা ছিল না গত দুদিন। ঘন কুয়াশায় মোড়া সেই অবস্থার আজ উন্নতি হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবনও। তবে রয়েছে শৈত্যপ্রবাহ ও বৃষ্টির পূর্বাভাস।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা দু-এক ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়বে। তবে ঘন কুয়াশায় কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।
এ সময় সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে আগামী ৮ জানুয়ারি শীতের পাশাপাশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
তিনি বলেন, আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে পুনরায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমবে। এ সময় দেশজুড়ে আবরও শুরু হবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সূর্যের হাসিতে কুয়াশা কিছুটা কমেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। শ্রমজীবীরা যে যার মতো কাজে বের হয়েছেন।
এদিকে জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তিন থেকে পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এতে শীত বাড়ার পাশাপাশি তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দু-একটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে দু-তিনটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত দুদিন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রাজধানী। বৃষ্টির মত ঝরেছে কুয়াশা, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে গাড়ি। সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত ছিল জনজীবন।
আপনার মতামত লিখুন :