রাজধানী ঢাকায় পরিবারের উদ্যোগ সাবেক এমপি মরহুম এটিএম ওয়াালী আশরাফের ৩০তম স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি'র জাতীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এডভোকেট রফিক সিকদার, জুনায়েদ সাকি ও রাইকা রিপা ওয়ালী খান।
শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। প্রয়াত এটিএম ওয়ালী আশরাফের কন্যা ইউএনডিপির কর্মকর্তা মিসেস রাইকা রিপা ওয়ালি খান বাবার জীবনের উপর আলোকপাত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লন্ডন থেকেই তার সাথে আমার পরিচয়, তারই প্রস্তাবেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে এবং বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে এটিএম ওয়ালী আশরাফের অবদান স্মরণীয়। বাঞ্ছারামপুরে জননন্দিত নেতা প্রয়াত এটিএম ওয়ালী আশরাফের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন।
মরহুম ওয়ালী আশরাফের জীবন ও স্মৃতির ওপর আলোচনা করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো. সফিকুর রহমান, অনুসারী মো. সিরাজুল ইসলাম, ঘনিষ্ঠ বন্ধু খন্দকার রফিকুল হোসেন কাজল, তানভীর ওয়ালী কনক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, বাঞ্ছারামপুরের রাজনৈতিক ইতিহাস চর্চা করলে সর্বাগ্রে এটিএম ওয়ালী আশরাফের নাম ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল এবং নতুন প্রজন্ম তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
এডভোকেট রফিক সিকদার বলেন, প্রকৃত অর্থে বাঞ্ছারামপুরের মা, মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন আমাদের প্রিয় আশরাফ ভাই। তিনি লন্ডনে জনমত পত্রিকা ও ছাত্র সংগ্রাম আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন। আশরাফ ভাই আমাদের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন।
এটিএম আশরাফের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে স্মরণসভায় স্বাক্ষর বুকে অতিথিবৃন্দ স্বাক্ষর করেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মো. মোফাক্কের হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মরহুম এটিএম ওয়ালী আশরাফ স্মৃতি সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট মীর হালিম।
আপনার মতামত লিখুন :