যদিও জিনগত কারণ আপনার আয়ুকে প্রভাবিত করতে পারে, তবুও দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাসগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘায়ু মানে শুধু দীর্ঘ জীবন নয় এটি সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপায়।
দীর্ঘায়ু কী?
দীর্ঘায়ু অর্থ দীর্ঘ জীবন। ১৯০০ সালে আমেরিকায় মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৪৭ বছর। বর্তমানে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭.৫ বছরে। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের আয়ুর মাত্র ২৫% নির্ভর করে জিনের ওপর বাকি অংশ নির্ভর করে আপনি কেমনভাবে নিজের শরীর ও মনের যত্ন নিচ্ছেন তার ওপর।
১. সঠিক খাওয়াদাওয়া করুন
সুস্থ খাদ্য শরীরের কোষগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে। খাবারের তালিকায় রাখুন:
ফলমূল ও শাকসবজি
ফুলকপি ও অন্যান্য শস্যজাত খাবার
বাদাম ও ডাল
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও লাল মাংস কমিয়ে দিন
আপনাকে নিরামিষভোজী হতে হবে না, শুধু বেশি করে উদ্ভিজ্জ খাবার খান।
২. চলাফেরা করুন, আয়ু বাড়ান
নিয়মিত ব্যায়াম হৃদযন্ত্র, পেশি ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। এটি মন ভালো রাখে এবং ঘুম উন্নত করে। লক্ষ্য করুন:
সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার শরীরচর্চা (যেমন হাঁটা, বাগান করা)
সপ্তাহে ৭৫ মিনিট শক্তিশালী ব্যায়াম (যেমন দৌড়, সাঁতার)
সপ্তাহে অন্তত ২ দিন পেশি শক্তিশালীকরণ
হালকা কাজকর্মও গণ্য হয় শুধু সক্রিয় থাকুন।
৩. জীবনযাত্রার সঠিক অভ্যাস গড়ে তুলুন
নিম্নোক্ত অভ্যাসগুলো আপনার জীবনকে দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে:
ধূমপান করবেন না। এটি শরীরের প্রায় সব অঙ্গের ক্ষতি করে।
মদ্যপান সীমিত করুন। নারীদের জন্য দিনে এক গ্লাস, পুরুষদের জন্য দুই তবে না খেলেই ভালো।
ভালো ঘুমান। প্রতিদিন ৭–৯ ঘণ্টা ঘুম সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এটি দেহকে রোগমুক্ত ও সুস্থ রাখে।
সামাজিক হোন। নিয়মিত আড্ডা ও মেলামেশা মানসিক স্বাস্থ্য এবং আয়ু বাড়ায়।
ইতিবাচক চিন্তা করুন। আশাবাদী মানুষ সাধারণত দীর্ঘজীবী হয়।
পরিশেষে, জিন বদলানো যায় না, কিন্তু জীবনধারা বদলে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন পাওয়া যায়। সঠিক খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, ও ইতিবাচক মনোভাব আপনাকে দিতে পারে সুস্থ ও আনন্দময় ভবিষ্যৎ।
আপনার মতামত লিখুন :