শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় আকলিমা খাতুন (২৮) কে হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী মো. রহমতউল্লাহ (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে শ্রীবরদী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো. রহমতউল্লাহ উপজেলার দেবোত্তরপাড়া দান্যারপাড় গ্রামের মো. শাপলা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১৩-১৪ বছর আগে উপজেলার দেবোত্তরপাড়া দান্যারপাড় গ্রামের রহমতউল্লাহর সঙ্গে পাগলারমুখ গ্রামের আকলিমা বেগমের বিয়ে হয়। সম্প্রতি রহমতউল্লাহ দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এক সপ্তাহ আগে স্বামীর সঙ্গে রাগ করে আকলিমা বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর গত ১৯ এপ্রিল রহমতউল্লাহ স্ত্রী আকলিমাকে বুঝিয়ে বাবার বাড়ি থেকে দেবোত্তর পাড়া দান্যারপাড় গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এরপর থেকেই আকলিমা নিখোঁজ হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দেবোত্তরপাড়া দান্যারপাড় এলাকার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ সহ সেখানে মাছি উড়তে থাকলে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে। সংবাদ পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পেপটিক ট্যাংকি থেকে আকলিমা বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূ আকলিমা উপজেলার পাগলারমুখ গ্রামের আব্দুল হাকিমের মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী।
এদিকে এ ঘটনার পরপর ঘাতক স্বামী রহমতউল্লাহ পালিয়ে যায়। পরে নিহত আকলিমা খাতুের ভাই মো. আবুল হাসেম বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বছির আহমেদ বাদল এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীবরদী থানার ওসি'র সহযোগীতায় খুনি রহমতউল্লাহকে শ্রীবরদী থেকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার স্ত্রীকে নিজ হাতে হত্যার পর লাশ গুম করে রাখার কথা স্বীকার করে। ঘাতক খুনিকে আটকের পর হত্যা মামলার আসামী হিসেবে রহমতউল্লাহকে শেরপুর আদালতে শুক্রবার দুপুরে সোপর্দ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :