ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত গ্রামের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র জুনায়েদ সরকার ফাহাদ ওরফে সিথিল (১৫) কে তারা নানার বাড়ি মনাইখালী গ্রামে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সিথিল দরিয়াদৌলত গ্রামের এস এম লিটু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনা ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল মধ্য রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা হলেন মনাইখালী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), জাহিদ মিয়া ছেলে মো: জিহান (২৫), মৃত শরিফ উদ্দিনের মেয়ে সুবর্ণা আক্তার (২৮)।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৪ নভেম্বর সিথিলের নানার বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সিথিল বাঞ্ছারামপুর সরকারি এসএমএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলো।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মধ্যরাতে প্রধান আসামি মহিউদ্দিন তার দলবল নিয়ে সিথিলদের নানার বাড়িসহ তার স্বজনদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। এতে সিথিলসহ রহমতা বেগম, স্মৃতি আক্তার, হাসেম মিয়া, শহিদ শিকদার, ময়না আক্তার ও বীথি আক্তার সহ ৯ জন আহত হয়। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে চিকিৎসারত অবস্থায় সিথিল মারা যায়।
মামলার বাদী রনি মিয়া জানান, আমরা সিথিলকে হারিয়েছি। প্রধান আসামিকে ধরে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, মনাইখালীর ঘটনায় গতকাল রাতে ৩ জন আসামীকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করা হয়। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদেরকে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :