জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচড়া ও গুনারীতলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ভেলামারী ও মৃধাপাড়া এলাকার যাতায়াত সড়কের ব্রীজটির দুই পাশে মাটি না থাকায় এবং মাঝখানে দেবে যাওয়ার ফলে চলাচল অনুপযোগী হয়ে গেছে। ব্রীজটি গত ৫ বছর যাবৎ অকেজো থাকায় চলাচলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে। ফলে এলাকাবাসীকে ৩০ সেকেন্ডের রাস্তা প্রায় ৩ কিঃ মিঃ দুরত্ব দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের উপর দিয়ে স্কুল ব্যাগ নিয়ে পারাপার হয়। ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করে পথচারীরা।
গুনারীতলা এলাকার সোবহান আলী জানান, আমাদের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা এটি। গত ৪ বছর যাবৎ ব্রীজটি অকেজো থাকার কারণে চলাচল করতে পারছে না। তবে এলাকার স্থানীয় লোকজন কয়েকটি বাঁশ দিয়ে ঝুকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। ভেলামারী জলিল ও গুনারীতলা এলাকার মাজেদ জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবৎ ব্রীজটির বেহাল অবস্থা, চলাচল করার কোন পরিবেশ নেই। বাঁশ ফেলিয়ে ঝুকিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী চলাচল করছে।
ইউপি সদস্য আলমগীর ও সাখাওয়াত হোসেন সাজু জানান, ব্রীজটি দীর্ঘদিন থেকে এই অবস্থায় আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের উপর দিয়ে পার হচ্ছে।
কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চু জানান, ব্রীজ গুনারীতলা ইউনিয়নের মধ্যে হওয়ায় বিষয়টি আমি জানিনা টেন্ডার হয়েছে কি না। এ ব্যাপারে গুনারীতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সাজুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কল সংযোগ পায়নি।
মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল জানান, মাদারগঞ্জের ৩৯টি ব্রীজ এর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে এই ব্রীজও আছে। এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে চেষ্টা করবো যাতে ব্রীজটি দ্রুত হয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :