পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেয়ার এক মামলায় ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায় হবে। তবে তাকে কারাদণ্ড বা অন্য সাজা দেয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দেশটির একজন বিচারক জানিয়েছেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌন সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্টর্মিকে ঘুষ দেয়া সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাটিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে। আগামী ১০ জানুয়ারি এই মামলায় আদেশ দেবেন বলে নিউইয়র্কের বিচারপতি হুয়ান মারচান জানিয়েছেন। তবে ট্রাম্পকে জেল, জরিমানা নয় বরং নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এক আদেশে এই বিচারপতি জানিয়েছেন, শুনানিতে ব্যক্তিগতভাবে বা ভার্চুয়ালি উপস্থিত হতে পারেন ট্রাম্প।
রয়টার্স বলেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যেন কোনো আইনি বাধায় পড়তে না হয় তাই শুক্রবার নিউইয়র্কের আদালতে বিচারক জুয়ান মারচান রুল জারি করেন। তিনি বলেন, ওই মামলায় ট্রাম্পকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। ১০ তারিখ এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হলেও বিচারক বলেন, মামলাটি মূলত নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। বিচারক জুয়ানের রায়ের অর্থ হলো ট্রাম্পকে ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের মাত্র ১০ দিন আগে আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হতে হবে। মার্কিন ইতিহাসে এটি একটি বিরল দৃশ্য। কেননা এই মামলায় আগের রায় বহাল থাকায় ট্রাম্প মার্কিন ইতিহাসের প্রথম অপরাধী, যিনি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন।
বিচারক তার আদেশে বলেন, ১০ জানুয়ারি দণ্ডাদেশ প্রদানকালে ট্রাম্পকে (৭৮) আদালতে সশরীর বা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত হতে হবে।ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেয়ার ইচ্ছা তার নেই। তাকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ (একধরনের স্থগিত দণ্ডাদেশ) দেয়া হবে; যার অর্থ তাকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না। এটাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।’
এদিকে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, এ মামলায় ট্রাম্পের কোনো কারাদণ্ড হওয়া উচিত নয়। বেআইনি এ মামলা কখনো বিবেচনা করারই উপযুক্ত নয়। মামলাটি অবিলম্বে খারিজ করে দেয়া-এটির সাংবিধানিক দাবি।
আপনার মতামত লিখুন :