পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মো. শাহ আলম নামের এক শিক্ষককে মারধরের বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে এগারোটায় উপজেলার মিশ্রীপাড়া ফাতেমা-হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মিশ্রীপাড়া বাজারে এসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করেন উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বর্তমান সাবেক শিক্ষার্থীরা।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষক উপজেলার আসালত খা এলাকার বাসিন্দা ও ফাতেমা-হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঐ শিক্ষক স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে লেনদেন করে আসছিল। জমিজমার কিছু লেনদেন নিয়ে মাঝে মাঝে ওই শিক্ষক ও স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সাথে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। মঙ্গলবার রাতে একই এলাকার কুদ্দুস সিকদার, জসিম, নুরুল হক নামের কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এতে ওই শিক্ষক এবং পাওনাদার জসিম আহত হয়। পরবর্তীতে তাঁরা দু'জনই কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে আহত শিক্ষকের সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা তার উপরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে মিশ্রীপাড়া ফাতেমা-হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা সহ স্থানীয় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে অভিযুক্তদের মধ্যে নুরুল হক নামের একজন জানান, ঐ শিক্ষকের কাছে টাকা চাওয়ার কারণে জসিম নামের ওই পাওনাদারকে সে তার ভাইদের নিয়ে মারধর করে। এক পর্যায়ে আমরা সবাই চলে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। জসিম এখন অনেক অসুস্থ। তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় জসিম একা নয় অনেক মানুষ তার কাছে টাকা পাবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিশ্রীপাড়া মন্দির সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষক মো. শাহ আলমের উপর হামলা হয়। তাঁকে রক্ষা করতে আসলে সাবেক এক শিক্ষার্থীর উপরও হামলা করে স্থানীয় কুদ্দুস সিকদারের নেতৃত্ব বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীরা।
মানববন্ধনে হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দ্রুত বিচার না হলে ক্লাস বর্জন করারও হুমকি দেন তারা।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলমান অভিযোগ পেলে আইনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :