রাজশাহীর বাগমারায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে বারো বছর চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম। তিনি সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের শেরকোল শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিপিএড)। অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম ২০১২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অধ্যবদি চাকরি করে আসছেন।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি যে এনটিআরসিএ সনদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যোগদান করেছেন, যার সিরিয়াল- ৯২৬৪৩১, রোল নং ৩২১১০৪৬৮, রেজিষ্ট্রেশন নং ৯০০০৪৩৮৫/২০০৯। অভিযোগে প্রকাশ তিনি সেই সনদধারী ব্যক্তি নন।
যার সনদ চাকরিতে ব্যবহার করা হয়েছে তাঁর নাম মো: মনিরুল ইসলাম। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় কানাঘুঁষা শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী অধ্যাপক জানিয়েছেন, মানুষ গড়ার কারিগর যদি ভুয়া সনদে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন, তাহলে তিনি শিক্ষার্থীদের কী শিখাবেন।
শিমলা এলাকার অভিযোগকারী লহর উদ্দীন বলেন, আমরা প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাই না। একজন আদর্শ শিক্ষক আমরা চাই।
অভিযুক্ত বিপিএড শিক্ষক নজরুল ইসলামের নিকট সরাসরি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতোদিন চাকরি করে আসলাম কেউ অভিযোগ করলো না, আজ আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। অভিযোগ প্রমাণ হলে কী করবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না। আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিপিএড করেছি। পূর্বে, এমন কী অন্য প্রতিষ্ঠানেও আমি চাকরি করে এসেছি।
শেরকোল শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আতাউল গনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নিয়োগ প্রক্রিয়া আমার দায়িত্ব নেয়ার আগে। তাছাড়া সনদ যাচাইয়ের প্রশ্ন উঠলে, সেটি আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস যাচাই করতে পারে।
বাগমারা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মুক্তাদির আহমদ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :