binodonerpadmaful
ঢাকা শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

ফতুল্লায় মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যা


বিনোদনের পদ্মফুল | স্টাফ রিপোর্টার ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম ফতুল্লায় মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিখোঁজের একদিন পর বাইজিদ আকন (৯) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আটক ফেরদৌস আলীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুইড়া এলাকার সাহাবুদ্দিন হাজীর ইটভাটার ঝোপের ভেতর থেকে থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাইজিদ আকন ফতুল্লা থানার ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার শাহানাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া সাইফুল আকনের ছেলে। আটক ফেরদৌস আলী (২৯) কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার খাকশ্রী থানার মানিক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে শিশু বাইজিদ আকন নিখোঁজ হয়। রাতে কে বা কারা শিশুটির বাবার কাছে ফোন করে পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তবে শিশুটির বাবা মুক্তিপণের টাকা দিতে রাজি হলেও কল করা ব্যক্তিটির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার সকালে শিশুর বাবা সাইফুল আকন বাদী হয়ে নিখোঁজ জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ফেরদৌসকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দাপাইদ্রাকপুর ইটভাটার ঝোপ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের জিডির সূত্র ধরে ফেরদৌস আলীকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে আটক করে পুলিশ। পরে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। শেষ শিশুটিকে হত্যা করে লাশ ইটভাটার ঝোপে রেখে আসে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ইটভাটার ঝোপ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। আটক ফেরদৌস আলীকে এখন করিমগঞ্জ থেকে ফতুল্লা থানায় আনা হচ্ছে। এ ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধ ও ক্ষোভের জেরে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। আর নিহত শিশু ও ঘাতক একই ভাড়া বাড়িতে পাশাপাশি বসবাস করতো। সোমবার সন্ধ্যার দিকে চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে ফেরদৌস রেলস্টেশনের বাসা থেকে বের হন। পরে রাত ১২টার দিকে নিহত শিশুর বাবাকে ফোন করে জানান ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, অন্যথায় হত্যা করা হবে। তারা টাকা দিতে চাইলেও পরবর্তীতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মুক্তিপণের টাকা চাওয়ার আগেই শিশুটিকে হত্যা করে এই ঘাতক।  কারণ হিসেবে জানতে পেরেছি, প্রায় সময় এই শিশুটিকে দিয়ে ফেরদৌস পান সিগারেট কিনে আনতে পাঠাতো। এ ঘটনা জানতে পেরে শিশুটির বাবা একদিন তার সাথে খুব রাগারাগি করে।

Side banner