binodonerpadmaful
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ইছামতী নদীতে কাঠের সেতু দুই ইউনিয়নের প্রধান ভরসা


বিনোদনের পদ্মফুল | আলামিন হোসেন আগস্ট ২, ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম ইছামতী নদীতে কাঠের সেতু দুই ইউনিয়নের প্রধান ভরসা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইছামতী নদীর ওপর একটি কাঠের সেতু রয়েছে, যা দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। সেতুটি দিয়ে হেঁটে পারাপার করা গেলেও কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল বহন করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে এলাকাবাসী সমস্যায় পড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিপি) অর্থায়নে সিমেন্টের খুঁটির ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে একটি প্রাথমিক সাঁকো তৈরি করা হয়। দুই বছর পর কাঠের পাটাতন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সিমেন্টের খুঁটির ওপর বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো নির্মিত হয়। ইছামতী নদীর উত্তর পাড়ে পশ্চিম খলিলপুর, আগ্রাইল, সট্টি, পশ্চিম চালা, লাউতা, সুলতানপুর, খাবাশপুর ও দড়িকান্দি গ্রাম রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে।
নদীর দক্ষিণ পাড়ে বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, যাত্রাপুর বাজার, সরকারি বিচারপতি নুরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হরিরামপুর থানা অবস্থিত। এই সাঁকো দিয়েই উত্তর পাড়ের আটটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। স্থায়ী সেতু না থাকায় কৃষিপণ্য নিয়ে বড় সমস্যা হয়, কারণ কৃষিপণ্য  বাজারজাত করতে তিন-চার মাইল ঘুরতে হয়। এর ফলে কৃষকদের জন্য ভোগান্তি বাড়ে এবং প্রতি বছর সাঁকো মেরামত করতে হয়।
পশ্চিম খলিলপুর গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, সেতুর অভাবে এলাকাবাসীর যাতায়াতে সমস্যার পাশাপাশি কৃষিপণ্য বাজারে পাঠাতে অনেক কষ্ট করতে হয়। অনেক সময় সাঁকো ভেঙে গেলে যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ বলেন, এখানে একটু সেতু খুবই জরুরি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে বেশ কয়েকবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছি। কিন্তু আজও এর কোনো সুরাহা হয়নি। এখানে সেতুর অভাবে হাজার হাজার জনগণ কষ্ট করছে। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যেন দ্রুত এখানে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান  বলেন, আমি অনেকদিন ধরেই এখানে একটা সেতুর চেষ্টা করছি। আগে বেশ কয়েকবার প্রকল্প দিয়েছি। কিন্তু হয়নি। এবার নতুন করে আবার প্রকল্প দিয়েছি। আশা করি, খুব দ্রুত সেতুর অনুমোদন হয়ে যাবে।

Side banner