ঝিনাইদহের শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের সামাজিক মাতব্বর সাইফুল ইসলামের ছেলে রানা (১৭) কে বুধবার দুপুরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত রানার পিতা সাইফুল ইসলাম মোস্তাক শিকদারের সামাজিক মাতব্বর ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর কর্মী। হামলাকারীরা ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাসের কর্মী সমর্থক বলে জানা গেছে।
এর দুদিন আগে মতিয়ার চেয়ারম্যানও হামলার শিকার হয়ে বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরই জেরে বন্দেখালী ও কাশিনাথপুরসহ বেশ কয়েক জায়গায় দফায় দফায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ও গরু-ছাগলসহ নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ভাংচুরের সময় শিশু ও মহিলাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বাদ আছর নিহত রানার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি নায়েব আলী জোয়ার্দার ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, সদ্য এসএসসি পাশ করা রানা (১৭) নানী বাড়ি ছাবিনগর গ্রাম থেকে ইজিবাইকে করে নিজ বাড়ী কাশিনাথপুরে ফিরছিলো। ডাউটিয়া বাজারে পৌছলে পথিমধ্যে তাকে ধাওয়া করে প্রতিপক্ষরা। সে দৌড়ে কাশিনাথপুরে একটি বাড়িতে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পরিবার ও পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ না আসায় হামলাকারীরা দরজা ভেঙে রানাকে বাইরে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ফরিদপুর রেফার্ড করা হয়। সেখানে যাওয়ার পথেই রানা মারা যায়। রানার মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের মাতম চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :