সমতল ভূমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রদর্শনী কফি ও চা চাষ প্রকল্পের কাজ শুরু করে সাফল্যের পথে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের নূরুল হুদা ডিউক।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে ৩ বছর পূর্বে শুরু হয় এ প্রদর্শনী প্রকল্পের কাজ।
নুরুল হুদা ডিউকের ভাতিজা সাংবাদিক সোহেল হুদা জানান, ৩ বছরেরও বেশি সময় পূর্বে খাগড়াছড়ি থেকে কফির চারা সংগ্রহ করে রোপণ করা হয়। যা থেকে চলতি বছর প্রথম বারের মতো প্রায় ৫ কেজি কফি সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামীতে কফির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাগান পরিচর্যাকারী আবুল কালাম আজাদ মোল্লা জানান, হাটবোয়ালিয়া কফি ও চা বাগানে চারা ক্রয় ও রোপণ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। যা এখন অবধি চলমান রয়েছে।
সমতল ভূমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রদর্শনী কফি ও চা চাষ প্রকল্পে ৩৩ শতাংশ জমিতে প্রায় ৩'শ ২০টি এ্যারাবিকা ও লোগোস্কো জাতের কফির চারা রোপণ করা হয়। একই সাথে চায়ের চাষও করা হয়েছে। যা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। তবে কফি গাছ থেকে ইতিমধ্যেই কফি সংগ্রহ করা হলেও চায়ের গাছ তেমন একটা বড় হয়নি। এমনকি চাও সংগ্রহ শুরু হয়নি।
তিনি জানান, ডিউক সাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রমে এখন প্রায় প্রতিটি গাছেই কফি ধরতে শুরু করেছে। প্রতিটি গাছের অধিকাংশ ডালেই থোকায় থোকায় কফি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলন বেশি না হলেও এবারই প্রথম পর্যায়ে ৫ কেজির মতো কফি সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, যদিও কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে এ প্রদর্শনী প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে কিন্তু কফির গাছ রোপণে ঘনত্ব হওয়ায় উৎপাদন কম হচ্ছে। আর একটু বেশি দুরত্বে গাছগুলো রোপণ করা হলে ফলন আরও বৃদ্ধি পেতো।
সমতল ভূমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে কফি ও চা চাষ প্রকল্পের উদ্যোক্তা নূরুল হুদা ডিউক জানান, আলমডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে কফি ও চা চাষ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কফি চাষ হলেও আমাদের দেশে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে কফি চাষ। কফির গাছ ও কফি দেখতে কেমন তা অনেকের কাছেই অজানা। তাই কফির চাষ হয়েছে এমন খবরে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন এ কফি বাগান পরিদর্শনে। আশানুরূপ ফলন ও লাভজনক হলে এবং সহযোগিতা পেলে এলাকার বেকার যুবকরাও কফি চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
আপনার মতামত লিখুন :