binodonerpadmaful
ঢাকা শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন


বিনোদনের পদ্মফুল | স্টাফ রিপোর্টার মার্চ ২, ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মরিচ্চাপ নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোয়ালডাঙায় ৬০০ ফুট বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে এ ভাঙন শুরু হয়ে ক্রমশ বেড়েই চলছে। দ্রুত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ না নিলে ওই বেড়িবাঁধ ভেঙে গোয়ালডাঙা বাজারের তিন শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বেড়িবাঁধের পার্শ্ববর্তী ৫০টি পরিবারসহ বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গোয়ালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা আহছান আলী ও আব্দুল মজিদ মোড়ল জানান, বেতনা নদী ও মরিচ্চাপ নদী খননের সুবিধার্থে বুধহাটা ও গোয়ালডাঙাসহ কয়েকটি স্থানে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দিয়ে রাখা হয়।
গত বছরের আগস্ট মাসে অতিবৃষ্টিতে বেতনা নদীর বিনেরপোতা নামকস্থানে ভেঙে যাওয়ায় সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এক পর্যায়ে জলাবদ্ধতা দূর করতে বুধহাটা ও গোয়ালডাঙাসহ কয়েকটি স্থানের আড়াআড়ি বাঁধ কেটে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। জেয়ারের পানির বাড়াতে মজিদ মোড়লের বাড়ির সামনে মরিচ্চাপ নদীতে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ভাঙন দেখা দেয়। ওই বাঁধ সংস্কার করা হয়নি। ওই সময়ের পর থেকে নদীপাড়ের ৫০ ঘর বাসিন্দা ও বাজারের ব্যবসায়ীরা হুমকিতে আছেন।
গোয়ালডাঙা বাজারের ব্যবসায়ী সেলুন মালিক সুকুমার রাহা, মুদি ব্যবসায়ী সুজিত কুণ্ডু ও মাংস বিক্রেতা কেরামত আলী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মজিদ মোড়লের বাড়ির পাশ থেকে নতুন করে বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দেয়। রাতের মধ্যে ফাটল গ্রামীণ ব্যাংকের ভবন ও কুদ্দুসের অটো রাইস মিল ছাড়িয়ে যায়। বেড়িবাঁধ ভেঙে কমপক্ষে ৬০০ ফুট ছাড়িয়ে যায়।
দুপুরের জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধের অনেকাংশ নদীগর্ভে পড়ে যায়। ফলে বেড়িবাঁধ কোথাও কোথাও দেড় থেকে দুই ফুট সরু হয়ে যায়।
তারা আরো জানান, রাতের জোয়ারের আগে বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে ভাঙন বেড়ে ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গোয়ালডাঙা বাজারের তিন শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বেড়িবাঁধের পার্শ্ববর্তী ৫০টির বেশি পরিবার ছাড়া খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের বড়দল, গোয়ালডাঙা, বুড়িয়া, ফকরাবাদ, জামালনগর, বামনডাঙাসহ কমপক্ষে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে গোয়ালডাঙা ও তেঁতুলিয়া মধ্যে খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পানিতে ভেসে যাবে কয়েক হাজার বিঘার চিংড়ির ঘের, বোরো ধানের ক্ষেত ও সবজির ক্ষেত।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাজারের ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসী রাত জেগে বেড়িবাঁধ পাহারা দিচ্ছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, যেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেটা মূল বেড়িবাঁধের মধ্যে পড়ে না। তাই সেটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Side banner