binodonerpadmaful
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

কুয়াকাটায় অক্ষয় তৃতীয়ায় পুণ্যলাভের আশায় গঙ্গাস্নান


বিনোদনের পদ্মফুল | আবদুল্লাহ মানিক মে ১০, ২০২৪, ০৬:১২ পিএম কুয়াকাটায় অক্ষয় তৃতীয়ায় পুণ্যলাভের আশায় গঙ্গাস্নান

অক্ষয় পুণ্যলাভের আশায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রম এর অক্ষয় তৃতীয়াব্রতম সনাতন ধর্ম্ম সম্মেলন ১৪৩১ আয়োজনে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এ গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভোর ৫টা থেকে আহ্বানী, সমবেত প্রার্থনা, মঙ্গলঘাট স্থাপন, শ্রী শ্রী বিষ্ণ পূজা,গঙ্গা মায়ের পূজা শেষে সকাল ১০টায় গঙ্গাস্নান করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীগুরু প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রী জয়দেব ঠাকুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঠাকুরের সহধর্মিণী জগৎমাতা হরপ্রিয়া দেবী ও পরমপূজ্যপাদ ঋত্বিক মহারাজ ডাঃ রাধাস্বামী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে কলাপাড়া পৌর মেয়র শ্রী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার এর সভাপতিত্বে ভাগবত আলোচনা রাখেন আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রমের সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ রায়, ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান, কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিহার রঞ্জন, আশ্রমের ভক্ত প্রভাষক শ্রী সঞ্জয় মন্ডল, ভক্ত শ্রী শ্যামল চন্দ্র মালো, ভক্ত শ্রী গোবিন্দ দেবনাথসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত জয়দেব ভক্তবৃন্দ।
প্রতিবছর দূর-দূরান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গঙ্গাস্নানে আসেন। এ সময় হাজারো মানুষের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সৈকতে দেখা যায় অনেকেই স্নান শেষে পরিবার নিয়ে গীতা পাঠ করছেন, আবার কেউ প্রার্থনাসহ ধর্মীয় রীতি-নীতি মগ্ন হয়েছেন।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই দিন গঙ্গাস্নান করলে অক্ষয় পুণ্য অর্জন করা যায়। আবার অনেকেই মনে করেন, এই তিথিতে স্বয়ং নারায়ণের বাস থাকে গঙ্গায়।
অনুষ্ঠান শেষে ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। পরে বাস ও গাড়ি যোগে অক্ষয় তৃতীয়া অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব ভক্তবৃন্দরা খুলনায় আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে শনি ও রোববার দুই দিনব্যাপী অষ্টপ্রহর মহানামযজ্ঞ ও পদাবলী কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

Side banner