খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে, জিরোপয়েন্ট, নিজখামার, হোগলাডাংঙ্গা, প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এবং কৈয়া বাজারে, বিভিন্ন স্থানে সড়কের অংশ বিশেষ দখল করে ব্যবসার জন্য স্তুপ করে রাখা হচ্ছে বালি। যত্রতত্র রাখা হয়েছে ইট, কাঠসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিবেশের পাশাপাশি বিপন্ন হচ্ছে জনজীবন। অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে, জিরোপয়েন্ট, নিজখামার, হোগলাডাংঙ্গা, প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামননে এবং কৈয়া বাজারে হয়ে ডুমুরিয়া পর্যন্ত মহাসড়কের কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে, বিভিন্ন ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে কাঠ, ইট, বালি ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। এ সড়কে দূরপাল্লার বাসসহ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল রয়েছে। এভাবে বালি, ইট ও কাঠ সড়কের গা ঘেষে দু’ধারে যত্রতত্র ফেলে রাখায় প্রতিদিন ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মুজিবর রহমান, জানান, মহাসড়কের দু’পাশে ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন ফেলে রেখেছে কাঠ, ইট, বালিসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা কোন কর্ণপাত করেন না। রাস্তার পাশে বালি রাখার কারণে গাড়ি চলাচলের সময় ও বাতাস হলে বালি উড়তে থাকে। ফলে এখানে দোকান খোলা রাখা যেমন দুষ্কর হয়েছে, তেমনি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার মিলছে না। বরং মহাসড়কের দু’পাশ জুড়ে বালু ও কাঠ রাখার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত মহাসড়কের দু’ধারে বালু, ইট ও কাঠ সরিয়ে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান ডা রবিউল ইসলাম, আব্দুল খালেক গাজী, ব্যবসায়ী মহাসিন হোসেন, সাব্বির শেখ সহ অনেক পথচারী বলেন, ইট, বালি, খোয়া, মহাসড়কে ফেলে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মহাসড়কের দুই পাশে দিনের পর দিন ফেলে রেখে স্থানীয় প্রশাসনকে মেনেজ করে ব্যবসা করছেন এ বিড়ম্বনা সহ্য করতে না পেরে ডাঃ রবিউল ইসলাম, সম্প্রতি ৯৯৯ এ রিং দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন প্রতিকার মেলেনি ।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনের মহাসড়কের সাথেই ইট ও বালি স্তুপ করে রেখে বিক্রি করছে মো. আনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ইট ও বালি রেখেছি বিক্রির জন্য। ওখান থেকে সরানো সম্ভব না। যদি কারো ক্ষমতা থাকে আমাকে কিছু করুক।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সদস্য মোহাম্মদ মিঠুন রহমান বলেন, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কেউ বিক্রির জন্য আবার কেউ বা নিজের ও প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য বালি, ইট ও কাঠ রাখতে পারে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্ব এমন উপদ্রব থেকে মুক্ত রাখতে। এসব উপদ্রব রাস্তার পরিবেশ নষ্টের পাশপাশি সাধারণ মানুষের নিরাপদ চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ,কে,এম সাদিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্রুত মহাসড়কে স্থাপিত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, ইট বালুর রাস্তায় বাতাস দূষিত করে পথযাত্রীদের স্বাস্থ্য সম্মত অক্সিজেন ব্যাহত করে, ধুলা বালি চোখে গিয়ে দুর্ঘটনায় ঘটে এবং নিরবিচ্ছিন্ন চলাচলে বাধাগ্রস্ত করে। সড়কের পাশ থেকে ইট ও বালির ব্যবসা সরিয়ে দেওয়ার জন্য জরুরী র্কাকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :