লক্ষ্মীপুরে গ্যাস নেওয়ার সময় বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ জন। এদের মধ্যে ১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে। অন্যজনকে নোয়াখালীতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩:৪৫ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকার গ্রীনলাইফ ফিলিং স্টেশনে এই বিস্ফোরণ হয়।
এ ঘটনায় নিহত হলেন সদর উপজেলার পৌরসভার শাহপুর এলাকার জাকির হোসেন এর ছেলে আবুল কালাম (২১) পেশায় রং মিস্ত্রি, তবে তিনি কী কারণে এখানে এসেছেন তা পরিবারে লোকজন ও নিশ্চিত করতে পারেনি।
আহতরা হলেন, নোয়াখালীর কবির হাটের নরউত্তমপুর এলাকার, আবদুল হকের ছেলে মোঃ আবুল হোসনে (৫০), অন্যজন হলেন, সদর উপজেলার পৌরসভার শাহপুর এলাকার নাসির হোসেন ছেলে মোঃ নাইম (২৪)। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে অন্যজনকে মাইজদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৩:৪৫টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী ওই ফিলিং স্টেশনে রামগতি-লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী রুটে চলাচল করা আল মদিনা পরিবহনের একটি বাস গ্যাস নিতে আসে। বাসটিতে গ্যাস দেওয়া শুরু হলেই সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হয়। এতে চারপাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজিচালিত অটোচালকেরা ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান এক জন। আহত হন ২ জন।
চালকেরা জানান, লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিচ্ছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। আল মদিনা পরিবহনের একটি বাস ফিলিং গ্যাস নিতে আসে। পাম্পের অপারেটর বাসে গ্যাস দিতে শুরু করলে এক পর্যায়ে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আল মদিনা নামের বাসটি শহরের ঝুমুর এলাকায় রং এর কাজ শেষে ওই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসে। এসময় রং মিস্ত্রি আবুল কালামও ফিলিং স্টেশনে আসেন বাসের সঙ্গে। সেখানেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে হয়ে মারা যান তিনি।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রনজিত কুমার বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এর মধ্যে একজন মারা যায়। কী কারণে দূর্ঘটনা ঘটেছে এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জয়নাল আবেদিন বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। গুরুতর আহত হয় ২জন। আহতদের মধ্যে কারো পা ও কারো হাত আঘাত লেগেছে। এদের মধ্যে ১জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনকে মাইজদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :