binodonerpadmaful
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
শীতের আগমনে 

আদমদীঘিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ তোশক তৈরীর কারিগররা


বিনোদনের পদ্মফুল | আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম আদমদীঘিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ তোশক তৈরীর কারিগররা

শীতের আগমন এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেপ তোশক তৈরির কারিগররা। বছরের অন্যান্য সময় তারা অলস সময় কাটালেও বাংলা আশ্বিন মাস আসলেই দোকানের তালা খুলে বসেন। লেপ-তোশকের কাপড়, তুলা ও সেলাই মেশিনসহ সরঞ্জামাদী সাজিয়ে বসেন লেপ-তোশক তৈরী করতে। তেমনি আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন লেপ-তোশকের দোকানে ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরীতে। 
স্থানীয় সুত্রে জানায় যায়, আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, নসরতপুর, মুরইল, কুন্দগ্রাম, কড়ইসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে মহাজন, কারিগরসহ প্রায় শতাধিক  শ্রমিক এ পেশায় রয়েছে। 
উপজেলা সদরের লালচান বেডিং স্টোরের মালিক রফিকুল ইসলাম জানায়, ৭ বছর আগে থেকে তিনি এ পেশায় নিয়োজিত হন। লেপ-তোশকের এই দোকানে তার সহোদর দুই ভাইও এ পেশায় রয়েছে। তারা দিনে ৫টি লেপ-তোশক সেলাই করতে পারেন। সাড়ে ৪ হাত সাড়ে ৫ হাত মাপের একটি লেপ তৈরী করতে কাপড়, গামেন্টের্সের তুলা মজুরিসহ ১ হাজার ২ শত টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত খরচে খরিদ্দারকে সরবরাহ করা হয়। এতে শ্রমিকের মজুরি ছাড়া দেড় শত টাকা লাভ থাকে। শীত মৌসুমে দিনে ৫/৬ টি লেপ-তোশক সরবরাহ করা যায়। আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এ পেশার কারিগররা ব্যস্ত থাকলেও অবশিষ্ট মাসে কারিগররা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন। 
বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানে কারিগরা লেপ-তোশক তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবারও ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরীতে।

Side banner