বগুড়ার সোনাতলায় জমি সংক্রান্তে বিরোধ মাটি ফেলে ভরাট করে বেদখলের চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা এমন অভিযোগ করেন বাদিপক্ষ। ঘটনাটি উপজেলার জোরগাছা ইউনিয়নের নওবগা মৌজার গ্রাম করমজায়।
স্থানীয় দিনেশ চন্দ্র মন্ডল জানান, মৃত প্রফুল্ল রায় (কোনা) বহুবছর পুর্বে ১৪ শতাংশ (ভিটা) সৈয়দ জামানের কাছ থেকে মৃত প্রফুল্ল কিনে। সেই সাথে তার নামে প্রিন্ট প্ররচা প্রকাশ হয় ও নিয়মিত ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে আসছেন। তবে উক্ত সম্পত্তি মাস তিনেক আগে কলিমউদ্দিন গংরা দাবি করে ঝামেলা করে।
মৃত প্রফুল্ল রায় (কোনা)র ছেলে প্রিয়তোষ রায় বলেন, আমার বাবা বিগত প্রায় ৫০ বছর আগে কবলা দলিল মুলে নওদাবগা মৌজায় ৪৮৫৩ দাগের ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। বাবার মৃত্যুর পরও উক্ত জমি আমাদের ভোগদখলে থাকা অবস্থায় গত মাস তিনেক আগে থেকে হঠাৎ করে প্রতিবেশী মৃত আলিম উদ্দিন এর ছেলে মোঃ কলিমউদ্দিন, মৃত আঃ খালেক (বাটু)র ছেলে মোঃ মোন্তে রহমান, মোঃ পিন্টু মিয়া ও কলিমউদ্দিন দুই মেয়ে মোছাঃ সাথী বেগম, সিমা বেগম তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের দখলীয় সম্পত্তিটি মাটি ফেলে বেদখল করার চেষ্টা করে। সেসময় স্থানীয়রা বিবাদ মিমাংসায় সাথীদের মাটি ফেলতে নিষেধ করে। তবে পুজায় ব্যস্ত থাকার সুযোগে আবারো পুর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের দখলীয় জায়গায় মাটি ফেলে ভরাটের করার চেষ্টা করলে আমরা বাঁধা দেয়। বাধা নিষেধ না মানলে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করি বিবাদিদের নামে। এক পর্যায়ে থানা পুলিশ উভয় পক্ষ ও স্থানীয় গণ্যমান্যের উপস্থিতিতে বিবাদমান জায়গায় মাটি ফেলে ভরাট করবেনা মর্মে থানায় বলে চলে আসেন সাথী গংরা।
তিনি আরো বলেন, প্রয়াত সাথী বেগম গংরা জাত তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করতে আসে।
এ বিষয়ে সাথী বেগম ও মোন্তের সাথে কথা বললে তারা মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা মাঝখানে মাটি ভরাট করছি পুরা জমিতে না।
এবিষয়ে সোনাতলা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক আঃ খালেক বলেন, বিবাদমান জায়গায় মাটি ভরাটের বিষয় জানতে পেরেছি তবে বিকেলে আমি যাবো।
আপনার মতামত লিখুন :