সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকা, নিবন্ধক ও মহাপরিচালকের বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ দাখিল করেন পশ্চিম রাজাপুর শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি আকিমুল ইসলাম মিয়া। সম্প্রীতি অভিযোগ দাখিল করা হয়।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, আমি মোঃ আকিমুল ইসলাম মিয়া (৪০), পিতা- আলী মস্তফা, গ্রাম-রাজাপুর (পশ্চিম), ডাকঘর- লক্ষীপুর, ইউপি-ফেনারবাঁক, উপজেলা-জামালগঞ্জ, জেলা-সুনামগঞ্জ। পশ্চিম রাজাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ। নিবন্ধন নং-১২৭১, তারিখঃ ০৪/০৮/২০০৯ খ্রিঃ। এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, জনাব লিপি রাণী দাস, উপজেলা সমবায় অফিসার, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ হিসাবে যোগদান করার পর পরই দীর্ঘদিন যাবত সমিতির মধ্যে দ্বন্ধ, কলহ সৃষ্টি করে আসছেন এবং সমিতির মধ্যে দুইটি গ্রুপ করে ও দুই সেট খাতাপত্র দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সমিতির কায্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, যাহা অবৈধ ও সম্পূর্ণ বেআইনী। জনাব লিপি রাণী দাস, উপজেলা সমবায় অফিসার, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ। তিনি বেআইনি ভাবে সমিতিতে সদস্য অন্তভূক্ত করে এক পক্ষকে দল ভারী করার উদ্দেশ্যে অডিট সম্পাদন করে সমিতির সভাপতির নিকট খাতাপত্র রেখে তাকে না জানিয়ে নতুন খাতাপত্র নিয়ে লুকোচুরি ভাবে সমিতির অজান্তে অডিট সম্পাদন করে বিরাট টাকা হতিয়ে নেন। যাহা সমবায় সমিতি ও আইন ভংগের শামীল। তাছাড়া সমিতির অডিট সম্পাদন, এডহক কমিটি গঠন, নির্বাচন ইত্যাদি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাজ করে থাকেন। যদি তার চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে সমিতিতে নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন।
এমনকি সমিতিতে অডিট নোটিশ প্রদান করেও নির্ধারিত তারিখে না গিয়ে পরবর্তীতে মোবাইলে অফিসে ডেকে এনে নানা ভাবে হয়রানি করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেন। ইহাতে সমিতির আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়।
তিনি প্রভাব খাটিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে সমিতিতে গ্রুপ সৃষ্টি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারায় সব সময় লিপ্ত থাকেন ও সমিতিতে বিবেধ ও গ্রুপ সৃষ্টি করে টাকা হাতিয়ে নেন। তার এহেন কার্যকলাপে সমিতিতে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশু সম্ভাবনা রয়েছে। বিবাদ সৃষ্টি করে দলের নাম ভাংগিয়ে ঘুষ দুর্নীতি করে, স্বৈরচারী করে লক্ষ লক্ষ/কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তাহার এহেন কর্মকান্ডে জামালগঞ্জ বাসী অতিষ্ট। পশ্চিম রাজাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ও এলাকাবাসীর অনুরোধে অফিসকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অভিযোগ করলাম।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন উপরোক্ত বিষয় যথাযথ পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনে নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে উপজেলা সমবায় অফিসার, লিপি রানী দাসকে অতিসত্বর বদলী/অপসারন করে নতুন একজন নিয়োগের মাধ্যমে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে অফিসের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আপনার সার্বিক সহযোগিতা ও অভিযোগ দায়ের করছি।
অভিযোগকারী আকিমুল বলেন, লিপি রানী দাসের স্বামী সাবেক ছাত্রলীগের নেতা তিনি সহ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের দিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। লিপি রানী আমাকে নারী নির্যাতনের মামলা দিবে বলে হুমকি প্রদান করছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামালগঞ্জ সমবায় অফিসার লিপি রাণী দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
আপনার মতামত লিখুন :