binodonerpadmaful
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক রাতে ১৭ প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি


বিনোদনের পদ্মফুল | মো. সিফাত রানা অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক রাতে ১৭ প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক রাতে কমপক্ষে ১৭টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতের বিভিন্ন সময়ে নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিটারগুলো চুরি হয়। মিটার চুরির পর চোরেরা সেখানে মোবাইল নম্বর রেখে গেছে যোগাযোগের জন্য। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট জোনাল অফিসগুলো এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নাচোল উপজেলার আড্ডা মোড় থেকে গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা পর্যন্ত সড়কের দুই ধারে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মিটারগুলো চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। চুরি যাওয়া মিটারগুলো রাইস মিল, স’ মিলসহ উৎপাদনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের। যেগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শিল্প ক্যাটাগরির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ পেয়েছিল। এই মিটারগুলো সাধারণত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল ও বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো থাকে। শিল্প ক্যাটাগরির মিটার গ্রাহককে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে কিনতে হয়। বাইরে থেকে এসব মিটার কেনার সুযোগ নেই। 
ভুক্তভোগি গ্রাহকরা জানিয়েছেন, মিটার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে একটি মোবাইল নম্বর সম্বলিত চিরকুট রেখে গেঠে চোরচক্র। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। দাবির টাকা দিলে মিটার ফেরত দিতে চান তারা। গোমস্তাপুরের চৌডালা এলাকার মেসার্স এবি স’ মিলের সত্ত্বাধিকারী আকবর আলী বলেন, মিটার চুরির পর সকাল থেকে মিল বন্ধ রয়েছে। দুপুরের দিকে চোরের দেয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করি। মিটার ফেরত দিতে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। পরে সেটা ৮ হাজার টাকায় নেমে আসে।
গোমস্তাপুর উপজেলা শেরপুর-পশ্চিমপাড়ার মেসার্স মর্তুজা রাইস মিলের মালিক মো. মর্তুজা জানান, চোরদের দেয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে রীতিমত হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে মিটার না নিয়ে পল্লী বিদ্যুত সমিতি থেকে নিলে পরিণতি ভাল হবে না বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে নতুন মিটার নিলে পরবর্তীতে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছে চোরেরা। তিনি বলেন, চোরদের কাছে এক রকম অসহায় হয়ে পড়েছি আমরা। ক্ষতিগ্রস্ত কোন কোন গ্রাহক বিকাশে টাকা পাঠিয়ে মিটার ফেরত নিয়েছেন। 
ভুক্তভোগিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, মোবাইল নম্বর রেখে গিয়ে মিটার চুরি করছে চোরেরা। আবার হুমকিও দিচ্ছে গ্রাহকদের। অথচ পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারছে না।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শিবগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, বেশ কয়েকটি মিটার চুরির অভিযোগ পেয়েছি। গ্রাহকদের বলেছি থানায় জিডি করতে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই চোরচক্রটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। এর আগে কয়েকজন ধরাও পড়েছিল। নাচোল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহিম বলেন, মিটার চুরির বিষয়টি জেলা অফিসে জানানো হয়েছে। জেলা অফিস থেকে যে দিক নির্দেশনা দেয়া হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত গোমস্তাপুর থানায় চারটি অভিযোগ দিয়েছেন গ্রাহকরা। থানার ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, চোরদের রেখে যাওয়া মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই চোর ধরা সম্ভব হবে।

Side banner