লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জের চলবলা ইউনিয়নের দুহুলী গ্রামের একটি রাস্তা দীঘ প্রায় ৫৩ বছর মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিগত আওয়ামী লীগ ১৭ বছরে এ রাস্তার কোনো সংস্কার কাজ হয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে তাদের এ অসুবিধার জন্য দায়ি। তারা সরকারের কাছে দ্রুত নতুন পাকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে গেছে। দুই পাশে ভেঙে গিয়েছে রাস্তা। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটর সাইকেলে যাতায়াত করা যায় না। বৃষ্টি হলে রাস্তার মাঝে গর্তে হাঁটু পানি জমে যায়। তখন পায়ে হেঁটে চলা কষ্টকর হয়ে পড়ে। প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার মানুষ চলাচল করে। এ রাস্তা দিয়ে আদিতমারী উপজেলার অন্তত ৬ গ্রামের মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তা।
এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, কৃষকদের মাঠের বিভিন্ন ফসল উত্তোলন করে কালীগঞ্জ বাসী চাপারহাট, শিয়ালখোওয়া, নামুড়ী পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়া হয়। রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক, মটরসাইকেল, চালক সুমন আধিকারী বলেন, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হলে কোন ভাবেই আসা-যাওয়া করা যায় না।
একজন নারী পথচারী সুফিয়া খাতুন বলেন, রিক্সা ভ্যান চলে না তাই পায়ে হেটে যাচ্ছি কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। অসুস্থ রোগি ও গর্ভবর্তী মহিলাদের নিয়ে হাসপাতালে নিতে যে কি কষ্ট হয়, সেটা বলে বুঝানো যাবে না বলে অনেকেই জানান।
হাদিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে অনেকবার এ রাস্তা মেরামত করে দিয়েছেন জনসাধারনের চলাচলের জন্য। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে দীর্ঘ ১৭ বছরে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা প্রতিহিংসার কারণে এ রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি। যে কারণে এলাকার ৬ গ্রামের মানুষের চলাচলে মারাত্মক দূভোগ অব্যাহত রয়েছে। বিগত সরকারের আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাকি স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে এ ধরনের রাস্তা কোথাও আছে কিনা সেটা এলাকার অনেকের সন্দিহীন রয়েছে। কোমলমতী শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে অসুবিধা হয় বৃষ্টি হলে ছেলে-মেয়েরা পা পিছলে পড়ে ব্যথাও পায়, অনেক বৃদ্ধরা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে পা পিছলে পড়ে আহত হয়। এলাকার কেউ কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। সড়কটির জন্য জনসাধারনের কষ্টের শেষ নেই।
এলাকার জনসাধারণ বলছেন, ১৭ বছরেও সংস্কার করা হয়নি দুই উপজেলার এই সংযোগ সড়ক গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। ভাঙাচোরা ও খাদাখন্দে ভরা এই সড়কে যানবাহন চলতে গিয়ে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক স্থানের রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে চোলে গেছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারীরা। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় হাজার মানুষ। বিশেষ করে বর্ষায় কাদা মাটি আর খড়া মৌসুমে ধুলোবালিতে নাজেহাল অবস্থা। প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষায় কাঁদা পানি ও দিনকালে ধুলোবালিতে শিক্ষার্থীদের বই ও পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এলাকার মানুষ বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ একাধিকবার স্থানীয় সকল প্রকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তাটির সংস্তারের বিষয়ে জানালে ও তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেননি।
আপনার মতামত লিখুন :