বৈশাখের তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষ জন। গত একসপ্তাহ ধরে সূর্যের তাপ প্রখর হওয়ায় মানুষের পাশাপাশি গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রাণিকুল। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন অনেকটা বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং এ মানুষের জীবনে দুর্ভোগের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। শ্রমজীবি মানুষেরা কাজে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে, প্রখরতাপ থাকায় কাজে যেতে রাজি হলেও গুনতে হয় অতিরিক্ত মজুরি।
মজুরি বেশি হওয়ায় কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। প্রতি বিঘায় অন্য বছর ৩ হাজার টাকায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া গেলেও শ্রমিকেরা এবছর ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করছেন। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তীব্র গরমে শুধু মানুষ নয়, পশু পাখিসহ সব প্রাণির স্বাভাবিক জীবন যাত্রা বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু এবং বয়স্ক মানুষদের সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন।
পথচারী সোবহান মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনেই বের হয়েছি।
শ্রমিক আনছার আলী বলেন, এই গরমে ধান কাটাতো দুরের কথা, হাওরে থাকাই দায়, ধান খেতে আরো বেশি গরম। তারপরও পেটের দায়ে ধান কাটতে হয়।
কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীকান্ত তালুকদার বলেন, প্রতি বিঘায় ধান কাটার জন্য ৩ হাজার টাকা করে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে; কিন্তু তাপদাহের কারণে এখন শ্রমিকেরা সাড়ে ৪ হাজার টাকা দাবি করছে। দর কষাকষি করে প্রতি বিঘায় ৪ হাজার টাকায় ধান কাটাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঈন উদ্দিন আলমগীর বলেন, প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে সর্দি জ্বর, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী হাসপাতালে বেশি চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে ঘন ঘন পানি পান করার পরামর্শ দেন। তবে ফ্রিজের বা বরফ দেওয়া ঠান্ডা পানি পান না করে নরমাল পানি পান করাই শ্রেয় বলে তিনি পরামর্শ দেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ব নিতে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
আপনার মতামত লিখুন :