মাগুরার শ্রীপুরে বিয়ে পড়ানোর কথা বলে মো. আলী রেজা (৫৭) নামে এক কাজিকে ফোনে নিয়ে বেধড়ক হাতুড়িপেটা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিলগাড়ী বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত শ্রীপুর সদর ইউনিয়নে কাবিন রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি লাঙ্গলবাঁধ কাদিল উদ্দিন কলেজের ধর্মীয় প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে আহত ওই কাজি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে আহত কাজি মো. আলী রেজা মুঠোফোনে জানান, মঙ্গলবার রাতে ০১৯৫১০৩০৯৭৪ নাম্বার থেকে একটা কল আসে। ওই নাম্বার থেকে আমাকে জানাই, রাতে চিলগাড়ী এলাকায় একটি বিয়ে আছে, সেখানে আমাকে যেতে হবে। পরে আমি রাতে চিলগাড়ী বাজার থেকে একটু এগিয়ে ওই নাম্বারে ফোন করি। এ সময় মুখ বাঁধা অবস্থায় একজন এগিয়ে এসে বলেন, আমি মেয়ের চাচা চলেন। এ কথা বলার সাথে সাথে আমাকে গামছা দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ধরে। এ সময় বেশ কয়েকজন এগিয়ে আসে এবং তিন জন আমাকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। পরে আমার চেচামেচিতে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে আমাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে আরোও জানান, দীর্ঘদিন খড়িবাড়িয়া গ্রামের ওয়ালিউল্লাহ নামে একজনকে সাথে রেখে কাজ করতাম। তার বিভিন্ন খারাপ কার্যকলাপের তাকে আমার সাথে আর রাখি না। এ জন্য সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেই। আমার উপর এ হামলার ঘটনার জন্য সেই দায়ী। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
যে নাম্বারে ফোন করে ডাকা হয়েছিল ওই নাম্বারে বার বার ফোন করার পরেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ওয়ালিউল্লাহ মুঠোফোনে জানান, এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। সে যদি আমাকে দোষারোপ করে থাকেন তাহলে মিথ্যাভাবে দোষারোপ করছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান, এ ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তি থানায় আসছিলেন। খুব অসুস্থ থাকায় তাঁর চিকিৎসা নেওয়া জরুরি ছিল। পরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :