গাইবান্ধায় আগাম জাতের ব্রি আটাশ ধানের শস্য কর্তন শুরু হয়েছে। শনিরবার (১৯ এপ্রিল) গাইবান্ধা সদর উপজেলা খোলাহাটি ইউনিয়নের আনালেরতারী গ্রামের শফিকুল ইসলাম সফি মোট সাত বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধানের ফসল রোপন করেছেন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ জমিতে আগাম ব্রি আটাশ ধানের আবাদ করেন শফিকুল ইসলাম শফি।
সোনার রঙের ধান ফলানো কৃষক শফিকে আগাম ব্রি ২৮ ধানের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগাম ব্রি আটাশ ধানের ফসল ঘরে তুলতে তার সময় লেগেছে ১০৫ দিন। তিনি জানান- ব্রি ২৮ ধান আগাম রোপন করায় আগাম কর্তন করে মাড়াই করতে পারছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষক আরো জানান, এবার ইরি বোরো ধানে তেমন কোন বালাই নেই। সহকারী কৃষি অফিসার লিজা আপার পরামর্শে আগাম জাতের ব্রি ২৮ ধান রোপণ করেছিলাম।
গাইবান্ধার সদর উপজেলার কৃষি অফিসার শাহাদত হোসেন জানান, এবার চলতি বোরো ইরি মৌসুমে ২১ হাজার ২৯৬ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ইরি বোরো ধানে রোগ বালাই কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক তাদের কাঙ্খিত ফসলের ফলন ঘরে তুলতে পারবেন।
ইরি বোরো ধানের আগাম ব্রি আটাশ চাষ করায় এবং আগাম কর্তন করায় শফিকুল ইসলাম শফির মুখে আনন্দের হাসি। কৃষক আরো জানান, শুধু ধান কতন করে আমি খুশি না ধানের সঙ্গে যে গোখাদ্য ধানের আঁটি আমি পেয়েছি ধানের খর আটি পেয়ে আমি আরো আনন্দদিত হয়েছি। কারণ এ সময় আগাম ধানের আটির ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই আগাম ব্রি ধানের খরের আটি গুলো বিক্রি করে দেব। পরে অন্যান্য জমির আটির খর শুকিয়ে সংরক্ষণ করব গবাদিপশুর জন্য। এখন ধানের আটির দাম ভালো তাই এগুলো শতকরা আড়াইশো থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করব। আর এই বিক্রির টাকায় শ্রমিকের মূল্য পরিশোধ করে বাকি ধানগুলো আস্তে আস্তে কর্তন করব।
আপনার মতামত লিখুন :