নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে মাঠে মাঠে এখন অপরূপ সৌন্দর্য বিলাচ্ছে সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ। হেমন্তের শিশির ঝরা ফুলের পাঁপড়িতে শীতের সকালে রোদের ঝিলিক আর বাতাসে সরিষা ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে চারদিকে। উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার মাঠ সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে। দুর থেকে দেখলে মনে হবে যেন হলুদ চাদর বা গালিচা। সকাল ও বিকালে সরিষা মাঠ দেখতে ও ছবি তুলতে ছুটছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে সৈয়দপুর উপজেলায় সরিষা আবাদ হয়েছিল ২ শ’ হেক্টর জমিতে। কিন্তু এবারে সরিষা আবাদ হয়েছে সাড়ে ৩শ’ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় প্রায় ৫ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। গত মৌসুমের চেয়ে এবারে সরিষা গাছ যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি ফুলও হয়েছে অনেক বেশি। প্রতিবছর বিঘা প্রতি ১২-১৩ মন সরিষা পেলেও এবারে বিঘা প্রতি ১৪-১৫ মনেরও বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কাশিরাম ইউনিয়ন, পাকাধার গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে (হাল, বীজ, সার) খরচ হয় দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এতে অনেক লাভ হয়।
উপজেলার বাংগালীপুর ইউনিয়নের কৃষক আনছার ও ফজলু জানান, বাজারে তেলের দাম লাগাম ছাড়া। বাজার থেকে যাতে তেল কিনতে না হয় এজন্যই সরিষার আবাদ করেছি। নিজের চাহিদা মত ঘানি থেকে সরিষার তেল বের করার পর বাকি সরিষা বিক্রি করে দিবো। কারণ বাজারে সরিষা তেলের দাম ভালো পাওয়া যাবে।
তারা বলেন, বর্তমান মৌসুমে প্রায় ৭ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। ফলনও খানিকটা ভালো হয়েছে। আশাকরি শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত ফসলও পাবো।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধিমান ভুষন জানান, কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেই এবারে গত মৌসুমের চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা পর্যাপ্ত ফলন ঘরে তুলতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :