binodonerpadmaful
ঢাকা রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১

বাঘায় কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত


বিনোদনের পদ্মফুল | স্টাফ রিপোর্টার জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম বাঘায় কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম। এতে ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বস্তি মিললেও দিশাহারা কৃষকরা। সার, তেল, কীটনাশক আর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। 
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু ৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ৫ থেকে ১০ টাকা, বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, শিম ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও ধনে পাতার আঁটি ৫ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৫ টাকা। আর প্রতি পিস ফুলকপি ৫ থেকে ১০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। বাজারে লাল শাকের কেজি ৭ থেকে ১০ টাকা, মুলা শাক ৫ টাকা, ডাঁটা শাক ১০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ ও কালাই শাক ১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার বাঘা পৌর বাজারে আবুল কালাম নামের এক ক্রেতা বলেন, সবজির দাম কমায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যে আলু কয়দিন আগেও ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কিনতাম, সেই আলু এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় পাচ্ছি।
অটোভ্যান চালক মরম আলী বলেন, সারা দিনে যা উপার্জন করি, তা চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এখন সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।
বাজারে ফুলকপি বিক্রি করতে আসা এক কৃষক ছামেদ আলী জানান, আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি বাঘা বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে, তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। সরকার একটা ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। 
আরেক কৃষক জহর মিয়া বলেন, তেল-সার, কীটনাশক আর বীজের আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে কৃষকদের পথে বসতে হবে।
আব্দুল জলিল নামের এক খুচরা বিক্রেতা জানান, আগে এক কেজি পণ্য বিক্রি করলে ৮ থেকে ১০ টাকা লাভ হতো। সেখানে দাম কমায় সবজির প্রতি কেজিতে লাভ হয় দুই থেকে তিন টাকা। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। ফলে বর্তমান বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম একটু কম। তবে সামনে রমজানকে কেন্দ্র করে অনেক কৃষক সবজি চাষাবাদ করছে। আশা করা যাচ্ছে, কৃষক ভাইয়েরা ভালো দাম পাবে।

Side banner