মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান বালুচরের প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আবাদী-অনাবাদী জমিতে কৃষকরা এখন সরিষা চাষ করছেন। তাদের অভিমত, ধানের তুলনায় সরিষায় লাভ বেশি।
বিগত বছরগুলো থেকে চলতি মৌসুমে সিরাজদিখানের বালুচরে চরসাংহারদি চসুমউদ্দীনচরে বেড়েছে সরিষার আবাদ। উৎপাদন বেশি হয় প্রতিবছর। তবে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি এবং প্রশিক্ষণ না থাকায় এই উপজেলার অনেক চাষিরা সরিষা ক্ষেত থেকে সরিষার পাশাপাশি মধু উৎপাদন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
এদিকে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরিষা চাষের পাশাপাশি যদি আমরা মধু উৎপাদন করতে পারতাম তাহলে আমরা আরো লাভবান হতাম, কিন্তু আমাদের মধু উৎপাদনে তেমন জ্ঞান বা জানা নেই বলে আমরা মধু উৎপাদন করতে ব্যর্থ হচ্ছি।
কিন্তু তারা সরিষা বিক্রি করে ভালো লাভবান হচ্ছেন, আমন তোলার পরপরই বপন করা হয়েছে সরিষা। ফুলের হলুদ চাদরে এখন ঢাকা পড়েছে উপজেলার ইউনিয়ন ভিত্তিক গ্রাম বিস্তীর্ণ মাঠ। কম খরচে বেশি ফলন হওয়ায় সরিষা চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে।
কৃষকরা বলছেন সরিষা চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। সরিষা চাষে জমিতে অন্য ফসলের উৎপাদন ভালো হয়। জমিকে উর্বর রাখতে তারা সরিষা চাষ করছেন। কৃষকরা অনেকেই সরকারি প্রণোদনা পাননি তবুও গেল বছরের তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে আবাদ করেছেন।
কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায় যে প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা। তারা বলেন, আমরা সরকারি প্রণোদনা পেলে অনেক দূর আগাতে পারবো।
আপনার মতামত লিখুন :