ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে খুব শিগগিরই তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।
এর আগে, রোববার রাতে ডিবি কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে খাবার খাইয়ে সেই সময়ের ছবি পোস্ট করা হয়েছে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে।
সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।’
হাইকোর্টের এ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন হারুন। সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট কি বলেছে আমরা এখনো জানি না, শুনি নাই। সেই মন্তব্য শুনে আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো।’
এর আগে, এক ফেসবুক পোস্টে হারুন অর রশীদ লিখেছিলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সাথে কথা বললাম। কি কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে মিরপুরের একটি বাসা থেকে নুসরাত তাবাসসুমকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরও নিরাপত্তার কারণে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে গত শুক্রবার রাতে ডিবি জানায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বাড়ানো হয়। যদিও ধীরে ধীরে কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :